উপনয়ন ও বেদারম্ভ সংস্কার এবং বেদব্রতদীক্ষা- ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
(অনুগ্রহ করে সম্পূর্ণ পড়ে রেজিস্ট্রেশন করবেন)

১৪২৯ বঙ্গাব্দে বাংলাদেশ অগ্নিবীর কর্তৃক আয়োজিত উপনয়ন ও বেদারম্ভ সংস্কার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সেই সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ১৪৩১ বঙ্গাব্দ তথা ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে পুনরায় উপনয়ন ও বেদারম্ভ সংস্কার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশ অগ্নিবীর একত্রে উপনয়ন ও বেদারম্ভ সংস্কারের আয়োজন করতে যাচ্ছে। উপনয়ন ও বেদারম্ভ সংস্কার প্রদান করবেন ভারতের আর্য সমাজের প্রখ্যাত আচার্য মহোদয়। 

আচার্য আনন্দ পুরুষার্থী
এম.এ. আচার্য- ব্যাকরণ, নিরুক্ত, দর্শন
আন্তর্জাতিক বৈদিক স্কলার
নর্মদাপুরম, মধ্যপ্রদেশ, ভারত
(৬ মহাদেশের ১৩টি দেশে বেদ প্রচারকারী)

উপনয়ন ও বেদারম্ভ সংস্কার নেওয়ার পূর্বে আমাদের কিছু শর্তাবলি মানতে হবে। 

উপনয়নের জন্য প্রদত্ত শর্ত ও নীতিমালা সমূহঃ
১) প্রত্যহ দ্বিসন্ধ্যা উপাসনাদিসহ  পঞ্চমহাযজ্ঞ [ ব্রহ্মযজ্ঞ-দেবযজ্ঞ-পিতৃযজ্ঞ-অতিথিযজ্ঞ-ভূতযজ্ঞ ] পালন ।
২) বেদোক্ত  সাত্ত্বিক আহার স্বীকার ও পালনে সচেষ্ট থাকা ।
৩) নিয়মিত বেদাদিশাস্ত্র পাঠরূপ স্বাধ্যায় করা ।
৪) পরমেশ্বরের বাণী বেদ প্রচারের মাধ্যমে সত্য প্রচার করে জাগতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন। পরমেশ্বরের আজ্ঞা অনুযায়ী বেদের পঠন-পাঠন ও  প্রচার অবশ্যই করতে হবে । 
৫) ব্রহ্মচর্য সাধন করা ও বৈদিক অনুশাসন সপ্তমর্যাদা মেনে চলা ৷ (সপ্তমর্যাদা সম্পর্কে জানতে-https://www.agniveerbangla.org/2018/03/blog-post_44.html 
৬) বেদকে সর্বোচ্চ প্রমাণ রূপে স্বীকার ও বিশ্বাস করা ।
৭) শিখা ধারণ (সমর্থ না হলে মুণ্ডন, জটা কিংবা চুল শালীনতা অনুযায়ী ছোট রাখা)।
৮) যজ্ঞোপবীত (পৈতা) ধারণ। শ্রাবণী উপাকর্মে যজ্ঞোপবীত পরিবর্তন।
১০) সনাতন ধর্মের বিশেষ ও সাধারণ মোট ১৪ লক্ষণ (বেদ - স্মৃতি-সদাচার - বিবেকের বাণী এবং ধৃতি, ক্ষমা, দম, অস্তেয়, শৌচ, ইন্দ্রিয়নিগ্রহ, ধী, বিদ্যা, সত্য, অক্রোধ ) নিজের আচারে প্রস্ফুটিত করা ।
১১) জাতিভেদ, অস্পৃশ্যতা কুপ্রথার বিরুদ্ধে সর্বদা প্রতিবাদী থাকা।
১২) সনাতন ধর্মকে রক্ষার জন্য নিজের জীবন দিতেও পিছ পা না হওয়া ।
১৪) আর্ষ পরম্পরার সকল ঋষি-মুনি-আচার্য-বিদ্বানদের প্রতি সর্বদা কৃতজ্ঞ ও শ্রদ্ধাবনত থাকা।
১৫) পঞ্চদেব (ঈশ্বর, আচার্য, পিতা-মাতা, অতিথি, স্বামীর পক্ষে স্ত্রী ও স্ত্রীর পক্ষে স্বামী) পূজা ও ত্রিবিধ ঋণ (দেবঋণ, ঋষিঋণ, পিতৃঋণ) পরিশোধের জন্য সর্বাত্মক কাজ করে যাওয়া।
১৬) এক ও অদ্বিতীয় সর্বব্যাপক ব্রহ্মকে নিজের উপাস্যদেব রূপে স্বীকার করা।

আমাদের থেকে উপনয়ন সংস্কার নিতে হলে উপর্যুক্ত শর্তাবলী ও নিয়মাবলী অবশ্যই মানতে হবে (এবং এই মর্মে সংস্কারের দিন একটি প্রতিজ্ঞাপত্র স্বাক্ষর করতে হবে) অন্যথায় আচার্য কর্তৃক উপনয়ন সংস্কার ছিন্ন করা হবে।  

যদি মনে করেন আপনি উপর্যুক্ত শর্তাবলী ও নিয়মাবলি মেনে চলতে পারবেন তবে আপনি আমাদের থেকে উপনয়ন ও বেদারম্ভ সংস্কার নিতে পারবেন। 
  • বেদব্রত দীক্ষা
আচার্য দ্বারা বেদানুকূল পথে গমনের জন্য ও উপনয়নের পূর্ব প্রস্তুতির সময়ে ঈশ্বর আরাধনার জন্য বেদবাক্যের মাধ্যমে শিষ্যত্ব গ্রহণ ও ভগবৎ আরাধনা শুরুর প্রারম্ভ হিসেবে বেদব্রত ধারণ যজুর্বেদ ১.৫ অনুযায়ী দীক্ষাও বলা যায় । এখানে আচার্য দ্বারা শিষ্যগণ নূন্যতম যেভাবে পরমাত্মার আরাধনা ও উপাসনা শুরু ও পরিচালনা করবেন সেই অনুযায়ী শিক্ষা দেওয়া হবে । বেদের প্রতি নিষ্ঠা ও পূর্ণ সমর্পণই এখানে মূল প্রয়োজন। পাশাপাশি আচার্য দ্বারা প্রদত্ত বিধি অনুযায়ী উপাসনা ও নিত্যকর্ম পালন করে জীবনাচরণ ।
১। বেদব্রত দীক্ষা কোন সংস্কার নয়। এই আপনার জন্য একটি সহায়িকা, মানবজীবনে আপনাকে বেদের পথে চলার জন্য একটি সূচনা, উপনয়ন সংস্কারের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার একটি সাহায্যকারী পদক্ষেপ।
২। বেদব্রত দীক্ষায় আপনার আচার্য আপনাকে একটি বেদমন্ত্রের উপদেশ করবেন। যার অনুকূলে চলাই আপনার ব্রত হবে তখন থেকে।
৩। বর্তমান সামাজিক অবকাঠামোতে আমরা রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারিনা। সাত্ত্বিক আহার কিংবা নানা বিষয়ে আমাদের পূর্বপ্রস্তুতি ও অভ্যাস প্রয়োজন। বেদব্রত দীক্ষা আপনার সেই অভ্যাসের একটি আনুষ্ঠানিক সূচনা যা আপনাকে শুরু করাবেন একজন বেদজ্ঞ আচার্যই ।
৪। সপ্তাহে অন্ততঃ ১দিন বাধ্যতামূলক সাত্ত্বিক আহার ও পঞ্চমহাযজ্ঞ করা আপনার মূল ব্রত হবে । পঞ্চমহাযজ্ঞ অর্থাৎ বেদপাঠ, সন্ধ্যোপাসনা, অগ্নিহোত্র যজ্ঞ যথাসম্ভব পালন বা অংশগ্রহণ, গুরুজনে ভক্তি, সর্বজীবে পালন ও অতিথির সেবা ।
৫। বেদব্রত দীক্ষাই আপনার চূড়ান্ত লক্ষ্য না। কিন্তু এই বেদব্রত দীক্ষা আপনার চূড়ান্ত লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
হে ভ্রাতা! হে ভগিনী! বেদ ও ঈশ্বর থেকে আর কতদিন দূরে থাকবেন ? ঈশ্বর আপনাকে অল্প অল্প করে শুরু করার সুযোগ দিয়েছেন, অগ্নিবীর আপনাকে সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে সাহায্য করবে। আসুন ঈশ্বরকে পাওয়ার পথে ।

অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য তারিখ ও স্থানসমূহ (তারিখের ক্রমানুসারে):
✹ ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ইং
স্থানঃ ক্ষত্রিয় সমিতি, রংপুর
যোগাযোগঃ 01300270367
✹ ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ইং
স্থানঃ বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর
যোগাযোগঃ 01774371410
✹ ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ইং
স্থানঃ রাণীরবন্দর, দিনাজপুর
যোগাযোগঃ 01516728339
✹ ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ইং
স্থানঃ বোদা, পঞ্চগড়
যোগাযোগঃ 01738051180
✹ ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ইং
স্থানঃ পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও
যোগাযোগঃ 01720301000
✹ ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ইং
স্থানঃ বালীয়াডাঙ্গা, ঠাকুরগাঁও
যোগাযোগঃ 01751118898
৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ইং
স্থানঃ পলাশবাড়ি, নীলফামারী
যোগাযোগঃ 01712215142
১ মে, ২০২৪ ইং
স্থানঃ বারুণীরডাঙ্গা, নীলফামারী
যোগাযোগঃ 01842451904
 মে, ২০২৪ ইং
স্থানঃ রমনা কালী মন্দির, রমনা, ঢাকা
যোগাযোগঃ 01843-752506
 মে, ২০২৪ ইং
স্থানঃ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ, পটুয়াখালী 
যোগাযোগঃ 01515251211; 01710255158; 01721163666; 01327276502
 মে, ২০২৪ ইং
স্থানঃ নগরবাড়ী সার্বজনীন শ্রীশ্রী দূর্গা ও শীতলা মন্দির, দূর্গাপুর, পিরোজপুর সদর, পিরোজপুর।
যোগাযোগঃ 01712637282
১০ মে, ২০২৪ ইং
স্থানঃ নতুনবাজার, অমৃতাঙ্গন, বরিশাল।
যোগাযোগঃ 01517165929; 01797346670
১২ মে, ২০২৪ ইং
স্থানঃ রামশীল, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ
যোগাযোগঃ 01646188566
১৩ মে, ২০২৪ ইং
স্থানঃ দূর্গাপুর, বোয়ালমারী, ফরিদপুর।
যোগাযোগঃ 01795494246
✹ ১৭ মে, ২০২৪ ইং
স্থানঃ আপন গার্ডেন, মুরাদপুর, চট্টগ্রাম।
যোগাযোগঃ 01673012197

প্রণামী: 
উপনয়ন ও বেদারম্ভ সংস্কার- ১৫০০ টাকা
বেদারম্ভ সংস্কার- ৫০০ টাকা
বেদব্রতদীক্ষা- ৫০০ টাকা

বি:দ্র: কোন অনুষ্ঠানের সময়সূচি পরিবর্তিত হলে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। 

ফরম পূরণে কোন প্রকার সমস্যা হলে যোগাযোগ করুন 01601414987 (শ্রী রাজন আর্য) (সন্ধ্যা ৭ টার পর) 

Sign in to Google to save your progress. Learn more
আচার্য শ্রী আনন্দ পুরুষার্থী- জী ও তাঁর শিষ্যগণ
উপনয়ন ও বেদারম্ভ সংস্কার-১৪২৯

Next
Clear form
Never submit passwords through Google Forms.
This content is neither created nor endorsed by Google. Report Abuse - Terms of Service - Privacy Policy